আপনি কি অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে যাচ্ছেন সঠিক নিয়ম কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না তাহলে আর দেরি না করে আজকে আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে থাকুন তাহলে আপনি অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য সঠিক আবেদন নিয়মে আবেদন করতে পারবেন ।
আপনি কি নতুন ভোটার হতে চাচ্ছেন?
এখন অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই যে কেউ নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। ১৮ বছর বয়সের সকলেই নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংকে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন। কিভাবে আবেদন করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য আপনাকে জানানো হবে। তো কেউ ধৈর্য হারা হয়ে পোস্টটি স্কিপ করবেন না।
অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার জন্য কিছু বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে যেমনঃ নতুন ভোটার হতে কি কি প্রয়োজন? এসব বিষয়ে ধারণা থাকলে পরবর্তী ধাপে কোন ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার সঠিক নিয়ম
১৬ বছরের উপরের সবাই আবেদন করতে পারবেন। ভোটার হওয়ার জন্য দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু তার আগে জেনে নিনঃ আইডি কার্ড করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন।
- সরাসরি অফিসে গিয়ে আবেদন।
নির্বাচন অফিস হতে ভোটার এর জন্য আবেদন
এই ধাপটি অনেক ঝামেলার। তবে আপনি চাইলে সময় নিয়ে ধৈর্য সহকারে কাজটি করতে পারেন। সরাসরি আবেদন করার জন্য নিকটস্থ উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে যেতে হবে। নিচে দেখানো ছবির মতন একটি ফরর্ম আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে।
আপনি চাইলে এখানে ক্লিক করে নিবন্ধন ফর্ম ১ম পাতা ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ফরমটি ডাউনলোড করে নিলে আপনাকে আর অফিসে যেতে হবে না। অফিসে গিয়ে অনেক ঝামেলা পোড়াতে হয়। আপনি ঘরে বসে ঝামেলা ছাড়াই শুধুমাত্র এই লিংকে ক্লিক করেই ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আমি উপদেশ দেব আপনি এখান থেকেই ফরমটি ডাউনলোড করে নেবেন।
নিবন্ধন ফর্ম ১ম পাতা
নিবন্ধন ফরম ১ম পাতা ভালো করে দেখে শান্ত মনে খুব সতর্কতা ভাবে পূরণ করতে হবে। ফরমে কোন প্রকার ভুল করা যাবে না। নিবন্ধন ফরম ১ম পাতা পূরণ করা হয়ে গেলে আপনাকে নিবন্ধন ফরম ২ ডাউনলোড করে নিতে হবে।
নিবন্ধন ফর্ম ২ম পাতা
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন পত্র সংগ্রহ করে নিজের নাম, পিতা মাতার নাম, ঠিকানা, জন্ম নিবন্ধন নাম্বার, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পিতা মাতার এন আই ডি কার্ড নাম্বার , এবং রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে নিতে হবে।
নতুন ভোটার হতে কি কি প্রয়োজন তার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে হাতে পাওয়া ফরমটি পূরণ করে সকল কাগজপত্র একত্রে করে তাই নির্বাচন অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে। ফরমটি জমা দেওয়ার পরে পরবর্তী সময়ে মোবাইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। জানিয়ে দেওয়ার কারণ হলোঃ ফিঙ্গার ও রেটিনা স্ক্যান এর জন্য। সকল কার্য সম্পাদন হবার পরে আপনাকে আবার মোবাইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। মোবাইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার পরে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
জানা না থাকলে জেনে নিন কিভাবে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হয়।
আবেদনের শর্ত সমূহঃ অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার জন্য কয়েকটি শর্ত অনুসরণ করতে হয়। তার মধ্যে বিশেষ কয়েকটি শর্ত নিচে দেওয়াঃ
- প্রার্থীকে অবশ্যই ১৬ বছরের উপরে হতে হবে।
- কোন ভুল তথ্য দেয়া যাবে না।
- আগের কোন ভোটার আইডি কার্ড থাকা যাবে না।
- প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদনঃ
অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে services.nidw.gov.bd এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে “নিবন্ধন করুন” বাটনে প্রেস করতে হবে। এরপরে আপনার নাম, জন্ম তারিখ, কাপচা কোড, মোবাইল নাম্বার, ইউজার নাম এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে একাউন্ট তৈর, করে নিতে হবে। অবশেষে, একাউন্ট লগইন করে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।
আবেদনের এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি যদি ভালোভাবে খেয়াল করেন তাহলে খুব সহজেই অনলাইন এর মাধ্যমে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তো চলুন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি নিয়ে আলোচনা করি!
না জানা থাকলে জেনে নিনঃ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
ধাপ-১ঃ সরকারি ওয়েবসাইট এ প্রবেশঃ services.nidw.gov.bd
পরিশেষেঃ অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার সঠিক নিয়ম।
প্রিয় দর্শক শ্রোতা অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের জানাতে ভুলবেন না এবং আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি যদি অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য সঠিক নিয়ম জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করবে জানাবেন ।
কেননা এতে করে অনেকেই আমাদের পোস্টটিকে সকলি সঠিক বলে মনে করবে । এবং আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন আমাদের ওয়েবসাইটটিতে তাহলে অবশ্যই ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ ।